বাবার বাড়িতে বেড়াতে এসে দরজায় পৌঁছেই সাপের কামড়ে নারীর মৃত্যু

সন্তানসহ বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন মৌসুমী আক্তার (২৭)। বাড়ির প্রধান ফটকে পৌঁছেই দরজার পাশে বসে পড়েন তিনি। এ সময় বাঁ পায়ের হাঁটুর নিচে কিছু একটা কামড় দেওয়ার আঘাতে চিৎকার দিয়ে ওঠেন তিনি। পরিবারের লোকজন একটি সাপ দেখতে পান। ততক্ষণে অসুস্থ হয়ে পড়েন মৌসুমী। গ্রাম্য কবিরাজের কাছে নেন প্রাথমিক চিকিৎসা। গুরুতর অসুস্থ হলে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। পরে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।
গতকাল বুধবার বেলা তিনটার দিকে দিনাজপুরের বিরামপুরে এ ঘটনা ঘটে। মৌসুমী আক্তার জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার গঙ্গাপুর গ্রামের রতন ইসলামের স্ত্রী।
• সিরিয়াস ব্যবস্থা নেয়ার পরও, বিচ্ছিন্ন ঘটনায় দায় বিএনপির ওপর চাপানো অপরাজনীতি
• Samsung Galaxy Tab S9: কেন এটি আপনার পরবর্তী ট্যাবলেট হওয়া উচিত!
• ‘বিএনপির আদর্শ ও রাজনীতির সঙ্গে সন্ত্রাস ও বর্বরতার কোনো সম্পর্ক নেই’
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মইনুল ইসলাম বলেন, বেলা দেড়টার দিকে মৌসুমী আক্তার সন্তানসহ বাবার বাড়িতে পৌঁছান। বাড়ির প্রধান দরজার সামনে বসার সঙ্গে সঙ্গেই খড়ের গাদার ভেতর থেকে বেরিয়ে আসা একটি সাপ তাঁর বাঁ পায়ের হাঁটুর নিচে কামড় দেয়। সঙ্গে সঙ্গে মৌসুমী চিৎকার করে ওঠেন এবং অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরিবারের লোকজন প্রথমে স্থানীয় এক কবিরাজের কাছে নিয়ে যান। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।
বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক তাহাজুল ইসলাম বলেন, সাপের কামড়ে সংকটাপন্ন অবস্থায় মৌসুমীকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তাঁর শারীরিক অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে তখন শরীরে অ্যান্টিভেনম দেওয়ার উপযুক্ত পরিস্থিতি ছিল না। পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু দিনাজপুরে নেওয়ার প্রস্তুতিকালে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে তাঁর মৃত্যু হয়।
বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক বলেন, সাপের কামড়ে মৃত্যুর ঘটনায় থানায় এখনো কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।